আল্লাহর কালাম হিফজ করার ইচ্ছাটা যেভাবে আমার মনের মধ্যে শেকড় গেড়েছিল সেই গল্পটা বলতে গেলে জীবনের শুরুর দিকে যেতে হবে। কুরআনের সাথে আমার পথচলার শুরুটা হয় আম্মুর হাত ধরে। ছোটবেলায় মাগরিবের পর আম্মুর সাথে কুরআন পড়তাম, এভাবেই একবারে ছোট বয়সে ঘরে বসে সূরা যিলযাল পর্যন্ত মুখস্থ করেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ। এরপর শুরু হয়েছিল মক্তব-যাত্রা। ছোটদের মক্তবের সে ধারা আজ বিলুপ্তির পথে। সাথে আমাদের ছোটরা বঞ্চিত ভোরের বারাকাহ থেকেও। মক্তবে কুরআনে কারীম কয়েকবার পড়ে খতম করার পর হুজুর কিছু আমলী সূরা মুখস্থ করিয়েছিলেন। এতটুকু মুখস্থ দিয়েই চলছিল আমার জীবন। তারপর নিজের অন্যান্য পড়াশোনায় মশগুল হয়ে যাই। ফলে হিফজের দিকে আর তেমন মনোযোগ দিতে পারিনি। বাসায় ইসলামের ইতিহাস, সাহাবাদের জীবনী পড়তাম। সাহাবায়ে কেরামের (রিদ্বওয়ানুল্লাহি আজমাঈন) জীবনীতে কিয়ামুল লাইলে পূর্ণ কুরআনুল কারীম খতম, সূরা বাকারা খতম করা দেখে অবাক হতাম। কিছু একটা ভেতরে ভেতরে গুমরে মরতো। কিন্তু সেটা কী তা পুরোপুরি ধরতে পারতাম না। আসলে আল্লাহ তৌফিক দিলে আমিও পূর্ণ কুরআনের হাফেজা হতে পারব- এই ভাবনাটা হৃদয়পটে কখনো উদিত হয়নি।