ব্যক্তিগতভাবে আমি তাবলীগী জামাতের সাথে জড়িত কেউ না। তবে খুব কাছ থেকে তাদেরকে দেখার সুযোগ হয়েছে। ছাত্র জীবনে কয়েকবার ছাত্র-জামাতেও বের হবার সুযোগ হয়েছে। সেই জায়গা থেকে কিছু কথা তুলে ধরছি। এগুলো মূলত আম মানুষদের জন্য বলা, আহলে ইলমরাও হয়ত কিছুটা ভাবনার খোরাক পাবেন।
এই জামাতের কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি আছে। নানান জনের থেকে এই জামাত নিয়ে যেসব অভিযোগ শোনা যায় তাকে আমরা কয়েকভাগে ভাগ করতে পারি-
ক. এমন অভিযোগ, যা পুরাই মিথ্যা। যেমন: গত জুমাতে সৌদির খতিবরা ধর্মমন্ত্রণালয়ের বাতলে দেওয়া খুতবা তোতাপাখির মত পাঠ করেছে। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ত্রাসবাদের সাথে সম্পৃক্ততা। এবং তারা নাকি মুসলিমদের পবিত্র রক্তকে হালাল করার দিকে মুসলিমদের ধাবিত করে। এটাকে জুমার দিনের সবচে বড় কৌতুক মনে হয়েছে। কেননা, তাবলীগ জামাতের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয় তার মধ্যে একটা হলো তারা রাজনীতি-জিহাদ এসব নিয়ে কোন কথাই বলে না, পুরোই নিথর। সুতরাং তাদের এই অভিযোগ কতটা মিথ্যা আর বিদ্বেষপ্রসূত তা বলাই বাহুল্য।
আরেকটা মিথ্যা অভিযোগ হলো, তারা নাকি মাজারপুজারী। নিজের সুস্থ বিবেক-বুদ্ধি খাটিয়ে স্মৃতির পাতা হাতড়ে দেখুন তো কখনো কোন তাবলীগী ব্যক্তিকে মাজারে সেজদা দিতে বা মাজারকেন্দ্রিক নানান অধর্মাচারের সাথে জড়িত থাকতে দেখেছেন কিনা? মনে হয় না দেখেছেন। আমি অন্তত কখনো দেখিনি।
খ. এমন অভিযোগ, যাতে মতের ভিন্নতা আছে। সালাফে সালেহীনের একদল আলেমরা সেগুলোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এগুলোর বিরোধিতা করেননি। তো এগুলোর ভেতরে আছে ফাজায়েলে আমলের কিছু ঘটনা, কিছু হাদীস ইত্যাদি। এমনও আছে যে, ইমাম নববী যা তাঁর বিখ্যাত ‘আল-আযকার’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন সেটা ফাজায়েলে আমলে থাকার কারণে একদল লোক এর কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং একে ‘শিরকী কিতাব’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু ইমাম নববীর ব্যাপারটা এড়িয়ে গেছেন। যঈফ হাদীস শর্তসাপেক্ষে ফাজায়েলের ক্ষেত্রে আমলযোগ্য হওয়াটা মুহাদ্দিসদের নিকট একটি প্রসিদ্ধ স্বীকৃত বিষয়। আবার কোন হাদীস যঈফ কি যঈফ না বা যঈফ হলে তা কতটা মারাত্মক সেসব নিয়েও হাদীসবিদদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকে। এসব বিষয় বিবেচনায় না রেখেই ঢালাওভাবে এই জামাতকে দায়ী করা হয়।
গ. এমন অভিযোগ, যা মূলত তাদের কর্মের ভুল ব্যাখ্যার উপর স্থাপিত। তারা যা মনে করে না সেটাকে তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া। যেমন, সৌদির খতিবদের সম্প্রতি জুমাতে দেখা গেছে, তাবলীগে ৩ দিন বা ৪০ দিনের জন্য বের হওয়াকে শরীয়ত বিরোধী বলা হচ্ছে। কারণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি এমনটা করেননি। কি অদ্ভুত কথাবার্তা! এটাকে যদি শরীয়ত ভেবে তারা করত বা এটাকে জরুরী মনে করত কিংবা এটাকে ইবাদত ভাবত তাহলে না হয় এভাবে বলা সঠিক হতো। কিন্তু তারা এটাকে করে যাস্ট একটা সিস্টেম হিসেব, আর কিছুই না। এমন নয় যে, কেউ ৩ দিনের জন্য গেলে ২ দিনে আসা নিষেধ বা ৪০ দিনের জন্য বের হলে এরচে কম সময়ে ফিরে আসা নিষেধ। মূলত এটি যতটা না অন্যকে দাওয়াত দেওয়ার কার্যক্রম, তারচে বেশি নিজের সংশোধনের একটা প্রোগ্রাম। তো একটা প্রোগ্রামের দিনগুলো কখনো শরীয়তের অংশ হিসেবে সাব্যস্ত করে না কেউ।
একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা আরো ক্লিয়ার হবে। আরবসহ সবখানেই শিক্ষালয়ের একেকটা বিভাগে পড়া শেষ করা হয় নির্দিষ্ট সিলেবাসে ও নির্দিষ্ট সময় মেনে। বিভিন্ন সময় অনেক রকমের কোর্স হয় নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে। এখন এইভাবে প্রোগ্রাম সেট করাকে যদি কেউ বিদআত বা শরীয়হ বিরোধী বলে আখ্যা দেয় এই যুক্তিতে যে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা সাহাবীরা এভাবে শিক্ষাদান করেননি, তাহলে তা নিঃসন্দেহে হাস্যকর ও মূর্খতাপূর্ণ কথা হবে। ঠিক এমনই তাবলিগের ব্যাপারটাও।
ঘ. এমন অভিযোগ, যা নিজস্ব ভাবনার সাথে না মিলার কারণে করা হয়। যেমন, তাবলীগ জামাত কেন রাজনীতির সাথে জড়িত না ইত্যাদি। তো এটাও আসলে দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তিশীল। একেক দল বা সংগঠন গঠিত হয় নির্দিষ্ট একটা কাজকে সামনে রেখে। তারা শুধু সেই কাজটাই করবে, এর বাইরে যাবে না এটা খুবই স্বাভাবিক। যেমন ধরেন, ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন নিয়ে একটা সংগঠন তৈরি করে কাজ করছেন। এখন যদি অভিযোগ করা হয়, সে বা তার সংগঠনের লোকেরা কেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে আন্দোলন করে না এটা হবে অযৌক্তিক। মনে রাখবেন, নরমালি যারা রাস্তায় বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে আন্দোলনে নেমে আসে এদের বড় একটা অংশ অন্য সময় তাবলীগে গিয়ে সময় দেয়। সুতরাং তাবলীগের ব্যানারে না হলেও তাবলীগের সাথে জড়িত লোকদের একটা অংশ অন্য ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে ঠিকই সরব থাকে।
ঙ. এমন অভিযোগ, যা আসলেই সত্যি। এর মধ্যে আছে সামাগ্রিকভাবে ইলমচর্চায় অনাগ্রহ, কিছু মওজু বিষয় তুলে ধরা, কিছুকিছু ক্ষেত্রে বিকৃতির শিকার ইত্যাদি।
এই বিষয়গুলো সংশোধনে আলেমরা সবসময় দৃষ্টিআকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। কখনো কম, কখনো বেশি। যেহেতু এখানে আলেমদের তুলনায় আম মানুষ বেশি, তাই অনেক রকমের জাহালতও ছড়িয়েছে। ফলে আলেমদের অধিকহারে সম্পৃক্ততা একে ভেতর থেকে সংশোধন করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। এমন কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি দুনিয়ার সকল জামাতের ভেতরই কমবেশ আছে। এগুলোর সমালোচনা হওয়াও যৌক্তিক এবং ক্ষেত্রবিশেষ খুব জরুরীও। আমরা কখনোই বলি না যে, তারা সাত ধোয়া তেতুলের বিচি। তাদের গায়ে ভুল-ভ্রান্তির কোন ধুলোবালি নেই।
তবে এখানে যে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে তা হলো, এদেশে যারা তাদের বিরোধিতা করে তারা কি বিরোধিতা ছেড়ে দিবে ফাজায়েলে আমলকে পরিহার করলে? কখনো নয়। বরং এই জামাত যাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত তারা মাজহাবী এবং আকীদায় সালাফী নয় এটাই সবচে বড় কারণ। সুতরাং এদেশে যারা তাদের বিরোধিতা করে তাদের বিরোধিতার মূল গোড়া কোথায় এটা যতদিন কেউ অনুধাবন করবে না তার কাছে পুরো ব্যাপারটার হাকীকত সুস্পষ্ট হবে না।
আমাদের একটা সংকীর্ণতা হচ্ছে, আমরা তাবলীগ জামাতকে নিজের গ্রাম বা মহল্লাতে যেমন দেখেছি সেটা দিয়ে বিবেচনা করে বসি। ফলে তা হয় দুর্বল না দূরদৃষ্টিহীন। অথচ এটি একটি বৈশ্বিক জামাত। এর যথার্থ মূল্যায়ন হবে এর বৈশ্বিক অবস্থান দিয়ে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ অমুসলিম দেশগুলোতে তাবলীগের সাথীদের নিরলস আর ইখলাসপূূর্ণ মেহনতের বদলে সেখানকার মুসলিম কমিউনিটিগুলো দ্বীনকে আঁকড়ে ধরে রাখার সুযোগ পেয়েছে। নইলে ধর্মত্যাগের বন্যায় বহু আগেই এরা ভেসে যেত। সেসব দেশে তারা বহু কুরবানীর বিনিময়ে অনেক মসজিদ-মাদরাসা-মক্তব নির্মাণ করেছেন। মুসলিম ছেলেমেয়েরা দ্বীন হারা না হবার পেছনে এদের অবদান যে কত বড় আর বিশাল তা কেবল সেখানকার অধিবাসীরাই বলতে পারবেন। এই বিষয়ে সামান্য ধারণা পেতে তকি উসমানী হাফি. এর সফরনামাগুলো পড়তে পারেন। দেখবেন তাবলীগ জামাতের কল্যাণে আল্লাহ দুনিয়ার কোনায় কোনায় দ্বীনকে পৌঁছে দিয়েছেন। এমন এমন দ্বীপেও ইসলামের আলো জ্বলেছে, যেখানে কখনো আমাদের যাবারও কথা না।
বৈশ্বিক আলাপ বাদ দেই। আমাদের দেশের কথাই বলি। আপনি সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে যান। দুর্গম পাহাড়ী অঞ্চলগুলোতে যান। দেখবেন সেখানেও বিদ্যুৎহীন বাঁশের বেড়ার মসজিদে কেরোসিনের প্রদীপের নিচে তাবলীগের লোকেরা দ্বীনের বাতি জ্বালিয়ে রেখেছে। খৃস্টান মিশনারীদের খপ্পরে বহু আগেই আরো হাজার হাজার মানুষের দ্বীন হারিয়ে যেত, যদি তাবলীগের মেহনত না থাকত। আমি স্বচক্ষে এমন কিছু দেখার সৌভাগ্য লাভ করেছি। শুধু শোনা কথা বলছি না। এসব খেদমত হচ্ছে আপনার-আমার চোখের আড়ালে। যেহেতু তাবলীগ জামাত কখনো প্রচারণার পেছনে পড়েনি। ফলে আমরা তাদের ব্যাপকহারে ছড়িয়ে থাকা খেদমতগুলো টের পাচ্ছি না, জানছিও না। এদেশের এমন সব দুর্গম জায়গায়ও তাদের দাওয়াত চলে, যেখানে আমি আপনি যাবার কথাও কল্পনা করতে পারি না। নিজের ঘরে আরামে বসে বিরোধিতা করা সহজ, কিন্তু নিজের পকেটের পয়সা-সময়-শ্রম খরচ করে এমন দিক-দ্বিগন্তে দাওয়াতী কাজ করা বহু কঠিন।
এদেশের হাজার হাজার মানুষ এমন আছে, যারা তাবলীগের মাধ্যমে দ্বীন পেয়েছেন। পরে নিজে আরো পড়াশুনা করতে করতে তাবলীগের ভেতরে চিন্তাভাবনার যে সংকীর্ণতা আছে সেটা থেকে বের হয়ে এসেছেন। (অনেকে আবার এই সংকীর্ণতা থেকে বের হতে পারেন না) নিজের ছেলে-মেয়েকে মাদরাসায় দিয়েছেন। নিজে মাদরাসা করেছেন। গোটা পরিবার দ্বীনদার হয়েছে সেই একজনের মাধ্যমে। কিন্তু শুরুর আলোটা তাদের মনে জ্বেলে দিয়েছিল তাবলীগ জামাতই। এই অবদানকে কিভাবে অস্বীকার করবেন?
বিভিন্ন বিশ্বাবিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজগুলোতে তাবলীগের মজবুত দাওয়াতী কাজ চলে। সেখানকার প্রচুর মেধাবী তরুণ-যুবক এই জামাতের ছোঁয়ায় দ্বীনের পথে এসেছে। শুধু যে নিজে এসেছে এমন নয়, নিজেও পরে একজন বড় দায়ী হয়েছে। অথচ দাওয়াত না পেলে এরা ইসলাম বিদ্বেষী হতে পারত। কারণ এদেশের কলেজ-ভার্সিটির ভেতরগত অবস্থা কেমন তা আমাদের সকলেরই জানা।
মূলত বিশ্বব্যাপী তাবলীগের এই অবদান এবং মুসলিমদের ঈমান-আমল-মসজিদের সাথে জুড়ে রাখার কারণেই কুফফারদের তলেতলে একটা ক্ষোভ আছে এদের উপর। এটি যেহেতু একটি ইসলাহী কার্যক্রম তাই একে যতভাবে বন্ধ করা যাবে মুসলিম তরুণ-যুবকদের বিপথে নেওয়াটা তত সহজ হবে। সৌদির শাসকগোষ্ঠী সেদেশের তরুণ-যুবকদের কোন পথে ধাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেটা কারো কাছেই অজানা নয়। হারামাইনের দেশে প্রচুর সিনেমাহল তৈরি, নাচ-গানের কনসার্ট ইত্যাদি আজ আর গোপন কিছু নয়। সুতরাং তারা এর বিরোধীতায় নামবে এতে অবাক হবার কিছু নেই। অথচ তাদের পূর্ববর্তী শাসকদের অনুমোদন নিয়েই রিয়াদে তাবলীগের মারকায স্থাপিত হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে এর দাওয়াতি কার্যক্রম চালু হয়েছিল বিশেষত নদবী রাহ. এর হাত ধরে।
অনেকে একে আমাদের দেশের মাযহাবী-লামাযহাবী দ্বন্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। তাদের ভাষ্য হচ্ছে, তাদের হাতে ক্ষমতা তাই তারা ভিন্ন মতকে প্রসারিত হতে দিচ্ছে না। যেভাবে আমাদের দেশে অনেক সময় লামাযহাবীদেরকে তাদের দাওয়াত প্রচারে বাঁধা দেওয়া হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মাযহাবীদের তরফ থেকে। এখানে বিষয়টা এমন নয়। কারণ তাবলীগ জামাত হলো খালেস একটি দাওয়াতি ও ইসলাহী কার্যক্রম। এর কোন রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। নির্দিষ্ট কোন আকীদা বা ফিকহের প্রচারও তারা করেন না। ফিকহ তাদের কার্যক্রমের বাইরের বিষয়। এটা স্পষ্টভাবে বলেও দেওয়া হয় তালিমের সময়। আকীদার ক্ষেত্রে সালাফী-আশআরী-মাতুরিদি এসব তাত্ত্বিক প্রসঙ্গে তারা যায় না। একেবারে সাধারণ মানুষের জন্য যতটুকু দরকার সেটাই বারবার বলে। যেমন- আলাহ খাওয়ায়, আল্লাহ পরায় ইত্যাদি। এই জামাতে আরবের বহু লোকজন ও ভিন্ন মাযহাবের লোকেও আছে। আরব থেকে প্রতি বছর ভারত-বাংলাদেশ-পাকিস্তানে প্রচুর লোকজন আসে দাওয়াতি কাজে। এসব নিয়ে কখনোই কাউকে কিছু বলা হয় না। কাউকে বলা হয় না আপনি হাত এভাবে না বেঁধে অভাবে বাঁধবেন বা আমিন এভাবে বলবেন ইত্যাদি। বরং এসব ফিকহী এই প্রশস্ততা মেনে নেওয়া হয়। সুতরাং দুইটাকে গুলিয়ে ফেলছেন যারা, তারা আসলে এই জামাতের কার্যক্রম ও চিন্তাভাবনা সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে অবগত নন।
মোটামুটিভাবে বলা যায়, তাবলীগের কিছু সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও এর অবদান অনস্বীকার্য। আমরা তাবলীগকে মূল্যায়ন করতে হলে শুধু নিজেদের এলাকা বা মহল্লার চিত্র দিয়ে মূল্যায়ন না করে এর বৈশ্বিক অবস্থান থেকে যদি মূল্যায়ন করি তবে সেটা হবে যথার্থ ও নির্ভুল। তারা ত্রুটি-বিচ্যুতি মুক্ত নয়। তাদের বিচ্যুতিগুলো সংশোধনের নিয়তে আলোচনা করা এবং যৌক্তিকভাবে এর সমালোচনা করাও আমাদের দায়িত্ব। যাতে এর ভেতরে কোন ত্রুটি না ঢোকে বা ইতিমধ্যে ঢুকে পড়া বিচ্যুতিগুলো স্থায়ী না হয়। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, অনর্থক অভিযোগ ও মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালিয়ে তাদেরকে দাগী আসামী করা হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।