কুরআন তিলাওয়াত করার বেশ কিছু আদব-কায়দা রয়েছে। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো,
১. পাক-পবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা।
২. কিবলার দিকে মুখ করে কুরআন তিলাওয়াত করা।
৩. পাক-পবিত্র স্থানে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা।।
৪. কুরআন তিলাওয়াত করার পূর্বে মিসওয়াক করে নেয়া। যাতে মুখে কোন দুর্গন্ধ না থাকে।
৫. ‘আউযু বিল্লাহিমিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় চেয়ে নেওয়া।
৬. ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পড়ে তিলাওয়াত শুরু করা।
৭. ধীরে-সুস্থে কুরআন তিলাওয়াত করা। খুব দ্রুত গতি বা অতি ধীর গতির মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করা। যাতে করে তিলাওয়াত করা অবস্থায় কুরআনের অর্থ বোঝা এবং সেগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। এমনিভাবে তাজবীদের যেসব নিয়মকানুন রয়েছে, যেমন-ওয়াকফ, ইবতিদা এগুলোকেও যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়।
৮. সুললিত কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করা।
৯. অতি উচ্চ আওয়াজ অথবা অতি নিম্ন আওয়াজের মাঝামাঝি অবস্থান গ্রহন করা।
১০. কুরআনের অর্থগুলো তিলাওয়াতের সময় মস্তিষ্কে উপস্থিত করা এবং অর্থগুলো উপস্থিত করানোর সময় খুব বিনয়ীভাব অবলম্বন করা।
১১. নিজেকে কুরআন তিলাওয়াত শোনার জন্য পরিপূর্ণ ভাবে প্রস্তুত করা এবং কুরআনের প্রভাবে অশ্রুসজল হওয়া।
১২. প্রতিটি আয়াতে চিন্তা করে করে কিছু সময় বিরতি নেওয়া। যখন এমন কোন আয়াত আসবে, যেখানে তাসবীহ পাঠের কথা রয়েছে সেখানে তাসবীহ পাঠ করা। এমনিভাবে যখন এমন কোনো আয়াত আসবে, যেখানে রহমতের কথা বলা হয়েছে সেখানে কিছু বিরতি নিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁর রহমত প্রার্থনা করা। কোনো আয়াতে শাস্তির কথা বা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার প্রসঙ্গ আসলে কিছুটা বিরতি নিয়ে আল্লাহর কাছে আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা । জান্নাতের কোনো আয়াত আসলে আল্লাহ তায়ালার কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা। জাহান্নামের আয়াত আসলে আল্লাহ তায়ালার কাছে জাহান্নাম এবং এর শাস্তি থেকে মুক্তিলাভের জন্য দুআ করা।
১৩. সবসময় কেবল মুখস্ত তিলাওয়াত না করে বরং অনেক সময় কুরআন খুলে দেখে দেখে পড়া। এমনিভাবে অন্য সময় মুখস্তও পড়া। যাতে করে উভয়ভাবে পড়ার ফযীলত অর্জিত হতে পারে।
[‘যিকিরে ফিকিরে কুরআন’ বই থেকে]
কুরআন
আমার হিফজ-যাত্রা
শুরু করার আগে আল্লাহর দেওয়া তাওফীকে আলহামদুলিল্লাহ আমার হিফজের সবক শেষ হয়েছে। আল্লাহর অনেক শুকরিয়া আদায় করছি। পরিচিত অনেক আপুদের